
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানেই কমছে সোনার দাম। বিশ্ববাজারে দরপতনের কারণে দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তাতে এক সপ্তাহের আগের দামের ফিরছে সোনার দাম। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে। মঙ্গলবার রাতে বজুসের কার্যনির্বাহী কমিটি সোনার দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে সেটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। আর নতুন দর আজ বুধবার থেকেই সারাদেশে কার্যকর হচ্ছে। আজ থেকে ২২, ২১, ১৮ ক্যারেট ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমছে। এর আগে সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৬ আগস্ট দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় দাঁড়ায়। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। অথচ ১৯৭১ সালে সোনার ভরি ছিল ১৬০ টাকা। তার মানে গত ৫ দশকে সোনার দাম বেড়েছে ৪৬৬ গুণ।
নতুন দর অনুযায়ী, ভাল মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার অলংকারের ভরি দাঁড়াবে ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা। এছাড়া ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি অলংকারের দাম ছিল ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকা। প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট ৭১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬২ হাজার ৭৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ৪৩০ টাকায়।
জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শঙ্কিত বৈশ্বিক অর্থনীতি, ডলার ও তেলের দরপতন, আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে সোনার দাম উত্থান–পতন সত্ত্বেও ব্যবসার অচল অবস্থা কাটাতে ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে ভরিতে ২ হাজার টাকা কমানো হলো। অবশ্য সমিতির নেতারা ৫ জানুয়ারি সোনার দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত যখন নেন তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) দাম ছিল ১ হাজার ৯৫১ ডলার। আর মঙ্গলবার দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ৮৪৫ ডলার।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ বার দেশের বাজারে সোনার দাম পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ৮ বার বেড়েছে, কমেছে ৬ বার। শেষ পর্যন্ত প্রতি ভরির দাম বেড়েছে ১২ হাজার ৩০৬ টাকা। এর মানে প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার টাকার বেশি দাম বেড়েছে গত বছর। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম মাসেই ২ দফা সোনার দামে পরিবর্তন এল।
এবিএনওয়ার্ল্ড/নওরতন