
এবার ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টাই নজরদারি চালাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই নজরদারির মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় যে কোনো আপত্তিকর বিষয় দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। একই সাথে অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া যাবে। এর আগে গত ১ বছরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রায় ৫ হাজার আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণ করেছে বিটিআরসি। বিটিআরসির ৪৩১টি লিংক বন্ধ করার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬২টি লিংক বন্ধ করেছে ইউটিউব। এছাড়া সিটিডিআরের মাধ্যমে বন্ধ করা হয় ১ এ হাজার ৬০টি ওয়েবসাইট এবং লিংক।
সাম্প্রতিক সময়ে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের ব্যক্তিগত ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। কলেজছাত্রী মুনিয়া ও জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ অবস্থায় উচ্চ আদালত নাগরিকদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। নানা সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ওয়েবসাইট ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই সাইবার সিকিউরিটি সেল নামে একটি বিশেষ সেল গঠন করছি। নজরদারির চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করছি। শুধু নাগরিকদের ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও নয়; এই সেলের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম ও সব ওয়েবসাইটে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার, সামাজিক রাজনৈতিক পর্ণগ্রাফি সহ আপত্তিকর কনটেন্ট সবকিছুই নজরদারি করা যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন বলেন, এর ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে যারা অপব্যবহার করছে কিংবা যেসব আপত্তিকর কনটেন্ট, ভিডিওর ফলে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা দ্রুত অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এবিএনওয়ার্ল্ড/এফআর